প্রেমের কারণে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যা!
চট্টগ্রামের পটিয়ায় শহীদুল ইসলাম (২৬) নামের এক ছাত্রলীগ নেতার নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবার বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত শহীদুল ভাটিখাইন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল খালেক চেয়ারম্যানের বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পরিবারের সবার অগোচরে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঝুলন্ত মরদেহটি জানালা দিয়ে এক শিশু তাকে দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন খবর দিলে দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘটনাটি আত্মহত্যা জনিত হওয়ায় চমেক হাসপাতালে রের্ফাড করেন। এ সময় পরে তাকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সামিহা রওশন বলেন, ‘রাত ৭টা ৫০ মিনিটে শহীদুল ইসলাম নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় আমরা তার ইসিজি করে নিশ্চিত হই, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।’
ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, শহীদের বাবা নুরুল ইসলাম দুই বিয়ে করেছিলেন। প্রথম ঘরের ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে এবং দ্বিতীয় ঘরে ছাত্রলীগ নেতা শহীদুল ইসলামসহ ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
মৃত শহীদের বড় ভাই মো. শাহজাহান জানান, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমি পটিয়া সদরে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। আমার ছোট ভাই লিটনের শ্যালিকার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল শহীদের। সে কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। আমাকে পটিয়া থানার ওসি থানায় ডেকে নিয়ে একটা ফরমে স্বাক্ষর নিয়েছেন।’
পটিয়া থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা আসার আগেই লাশটি হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছে। আমরা নিহতের বড়ভাই শাহজাহানের সাথে কথা বলছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারণে ছাত্রলীগ নেতা শহীদ আত্মহত্যা করেছে।’
ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘সে আত্মহত্যা করলে আমাদের কি করার আছে। এ ব্যাপারে তার পরিবারের কারও অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’