রাজশাহী কলেজের হিজাব পরা ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ

ফেসবুকে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে’ মন্তব্য করার অভিযোগে রাজশাহী কলেজের এক ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে সাময়িক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একইসঙ্গে কলেজের শৃঙ্খলার স্বার্থে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

অভিযুক্ত ছাত্রী ওই কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।

এর আগে, সকালে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন কলেজ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। তার মন্তব্য নিয়ে পুরো কলেজ ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় শিক্ষক কাউন্সিলের মিটিং শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ওই শিক্ষার্থী একটি ফেসবুক গ্রুপে মুসলমানদের কাবা ও হজ নিয়ে অশালীন, অবমাননাকর মন্তব্য করে। সে কারণে তাকে কলেজ থেকে বহিষ্কারসহ কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে।  

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, মেয়েটা হিজাব পরে থাকে। সে মুসলমান। এরপরও এমন অবমাননাকর মন্তব্য কখনোই আশা করা যায় না। সে ফেসবুকে আল্লাহ, রাসূল ও হজ নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছে। আমরা এর তিব্র প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল খালেক জানান, বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় শিক্ষক কাউন্সিলের জরুরি সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে না। এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে। তবে কলেজে বিশৃঙ্খলা এড়াতে ওই ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে একাডেমিক ব্যবস্থা নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে দাবি করেন বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজারুল ইসলাম।