২৬ জুন ২০২২, ১৫:৫৭

হাড়বিহীন মাথা নিয়ে মারা গেল ছাত্র, সাভারেই রয়ে গেল মগজ

আরশাদুল  © সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ময়মনসিংহের নান্দাইলের আরশাদুল মারা গেছেন। শনিবার (২৫ জুন) রাতে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। আরশাদুলের মা রুমেলা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। আমি হত্যার বিচার চাই।   

তবে মৃত্যুর সময় তার মাথার মগজ ছিল সাভারের ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিংয়ে। সুস্থ হওয়ার তিন মাস পর ওই অংশ সংযোজন করার কথা ছিল। আরশাদুলের মাথার ব্যান্ডেজে চিকিৎসক লিখে রেখেছিলেন, ‘মাথায় হাড় নাই, চাপ দিবেন না'।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী আরশাদুল (২০) উপজেলার অরণ্যপাশা গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। পড়ালেখার ফাঁকে তিনিও মনিহারি ব্যবসা করেন। 

গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলায় আরো ১০ জন আহত হন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাঁচ দিন ধরে ঢাকা মেডিক্যালে চলছে আরশাদুলের চিকিৎসা। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।   

স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির সামনে একটি জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আরশাদুলের ছোট ভাই আহাদের সঙ্গে প্রতিবেশী নবী হোসেনের ছেলে জুনায়েদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে মারামারির ঘটনাও ঘটে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। কিন্তু জেদ জমিয়ে রাখে জুনায়েদ। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আরশাদুলকে একা পেয়ে বড় ভাই সুজনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালায় জুনায়েদ। এ সময় আরশাদুলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।   

গুরুতর অবস্থায় আরশাদুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দায়ের কোপ ও শাবলের আঘাতে আরশাদুলের মাথার খুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ঘটনার ছয় দিন পর নান্দাইল থানায় মামালা করেছেন আরশাদুলের বাবা মঞ্জিল মিয়া। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, রুবেল নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।