ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যাচেষ্টার আগে চিরকুটে যা লিখেছেন মডেল দেবলীনা
ভারতের কলকাতার মডেল দেবলীনা দে’র আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় তার ঘর থেকে চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার চেষ্টার আগে নিজের ডায়েরির পাতায় নোট লিখেছিলেন তিনি। সেটি অভিনেত্রী ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন। পরে অবশ্য পোস্টটি মুছে দেন। তদন্তে নেমে চিরকুটটি পুলিশ উদ্ধার করে।
সেই চিরকুটে অভিনেত্রী নিজের পরিবারকে দায়ী করার পাশাপাশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত বেশকিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, চিরকুটে যাঁদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তাঁরা পুলিশের নজরে আছেন। এ বিষয়ে দেবলীনার জ্ঞান ফিরলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।
গত শুক্রবার নরেন্দ্রপুরে একটি বাগান বাড়িতে মিউজিক ভিডিওর শুট ছিল তাঁর। সেখান থেকে দুপুরের পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান দেবলীনা। বন্ধ করে দেন নিজের মোবাইল ফোন। তারপর ফেসবুকে পরিবারের বিরুদ্ধে পোস্ট করে রাতে কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খান। ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরো পড়ুন: স্ত্রী-শাশুড়িসহ তিনজনকে হত্যার পর গাছের ডালে বসে ছিলেন জামাই
দেবলীনা দে (২৭) কালনার বাসিন্দা। দেড় বছর ধরে মুকুন্দপুর এলাকার উত্তলিকা আবাসনে ভাড়া থাকছিলেন। সিরিয়ালেও কিছু কাজ পেতেন। তবে উপার্জন তেমন হচ্ছিল না। পরিবারের সঙ্গে এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই মনোমালিন্য চলত।
পরিবার সূত্র জানায়, মাসে ১০ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, রান্নার লোকের বেতন, বাজার করার টাকাও তারাই যোগাতেন। ২২ জুন দেবলীনার জন্মদিনে বাবার কাছে নতুন ফ্যাশন বুটিক খোলার জন্য লক্ষাধিক টাকা চান। এ নিয়ে বেঁকে বসেন বাড়ির সদস্যরা। বেশী প্রতিবাদ করে ভাই। তার সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন দেবলীনা।
রাতেই ওয়াটস্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টা থেকে ভাইকে ব্লক করেন তিনি। পরের দিন বিকেলে গাড়ি ভাড়া করে দেবলীনাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। মেয়ে মুডি এবং শর্ট টেম্পার হওয়ায় মা সঙ্গে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে আসতে বারণ করে মেয়ে।