বাংলাদেশি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুই ভারতীয়র ২০ বছর কারাদণ্ড
বাংলাদেশি এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই ভারতীয়কে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (৪ জুন) দেশটির পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ মহাকুমা অতিরিক্ত দায়রা আদালত-১ এর বিচারক শান্তুনু মুখোপাধ্যায় এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অশোক প্রামানিক বলেন, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বাগদা থানার হরিহরপুর এলাকায় ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে শরিফুল মল্লিক ও মহসিন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কয়েক দফা রিমান্ডের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
শনিবার বিচারক তাদের উভয়কে ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ রুপি করে জরিমানা করেন। পাশাপাশি ওই তরুণীকে আটকে রাখায় আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। জরিমানাকৃত অর্ধেক রাজ্য সরকার এবং বাকি অর্ধেক তরুণীকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই তরুণীকে প্রায় চার মাস আগে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
জানা যায়, অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল ওই কিশোরী। এরপর বাগদার হরিহরপুর এলাকায় ওঠে। সেখানেই ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সে ধর্ষণের শিকার হয়। পরে দুই ভারতীয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিশোরীকে হোমে পাঠানো হয়। পরে আইনি জটিলতা কাটিয়ে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আরও জানা যায়, হরিহরপুরের শরিফুল মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতে যায় ওই কিশোরী। এরপর শরিফুলের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে শরিফুল ধর্ষণ করে। অভিযোগ ওঠে তারই সহযোগী মহসিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও।