‘আমি কোনো উপায় না দেখে অস্ত্র দিয়ে ওর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছি’
নাটোরের বড়াইগ্রামে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে এক ব্যক্তির বিশেষ অঙ্গ কেটে দিয়েছেন বিধবা নারী (৪০)। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য বলেন, আহত ব্যক্তি ও ভুক্তভোগী নারী দুজনই প্রতিবেশী। গতকাল রাতে দুজনের চিৎকার শুনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানে আহত ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিধবা নারী বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছে দুই বছর হলো। আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। এক ছেলে ও মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। তারা সবাই ঢাকায় থাকে। অনেক আগে থেকে এই ব্যক্তি আমাকে বিরক্ত করত। আমি স্থানীয় প্রধানদের অনেকবার বলেছি। সোমবার রাতে আমি প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হই। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমাকে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে আমাকে মারধর করে। গলায় কামড়িয়ে ও টিপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমি কোনো উপায় না দেখে অস্ত্র দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছি।’
অন্যদিকে আহত ব্যক্তি বলেন, ‘আমাকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। আমি বাড়ির ভেতরে ঢোকার সাথে সাথে ধরে আমার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়।’
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।