পদ্মা সেতু নিয়ে টিকটক করে অপপ্রচার, তরুণ গ্রেপ্তার
পদ্মা সেতু নিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে এক যুবককে আটকের পর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
আটক ২০ বছরের ওই যুবকের নাম হেলাল উদ্দিন ঢালী। হেলাল জাজিরা উপজেলার বিকেনগর পূর্ব কাজীকান্দি গ্রামের সিরাজ ঢালীর ছেলে। সে পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের স্থানীয় শ্রমিক।
পদ্মা সেতুর ৪২ নম্বর পিলারের কাছে সোমবার বিকেলে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় টহলরত সেনা সদস্যদের হাতে আটক হয় ওই যুবক। মঙ্গলবার জাজিরা থানায় হস্তান্তরের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সন্ধ্যায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হেলাল পদ্মা সেতুর নদীশাসন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রোতে শ্রমিকের কাজ করত। সোমবার বিকেলে সেতুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত শেখ রাসেল সেনানিবাসের সেনা সদস্যরা পশ্চিম নাওডোবা এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় তারা সেতুর ৪২ নম্বর পিলারের কাছে হেলালকে টিকটক ভিডিও বানাতে দেখেন।
সেনা সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তার মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিওগুলোতে পদ্মা সেতু নিয়ে নানা নেতিবাচক প্রচার পাওয়া যায়। সেনা সদস্যরা তাকে জাজিরা থানায় নিয়ে যান।
সেখানে হেলাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর মঙ্গলবার হেলাল উদ্দিনকে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার জাজিরা থানার উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে হেলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে শরীয়তপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
উপপরিদর্শক জসিম বলেন, হেলাল সেতু নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক টিকটক ভিডিও বানাচ্ছিল। সে দীর্ঘদিন যাবৎ সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অপপ্রচারমূলক ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বিষয়টি স্বীকার করেছে।