ছাত্রলীগের এক নেতার রগ কাটলেন আরেক নেতা
বরিশালের গৌরনদীতে ছাত্রলীগের এক নেতার পায়ের রগ একই সংগঠনের অপর এক নেতা কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (০৭ মে) রাতে উপজেলার চাঁদশী কুমারভাঙ্গা সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম সাইফুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে ফাহিম সরদারের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। আহত ফাহিম চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য ও মাহিলাড়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ফাহিম বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই রাব্বি সরদার বাদী হয়ে ১২ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীকে আসামি করে আজ রোববার গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেছেন। ওই দিনই পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য ফাহিম সরদারের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সদস্য সাইফুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তাঁদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: গুগল-মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেবে ছাত্রলীগ: সাদ্দাম
সাইফুলের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফাহিম সরদার তাঁর সহযোগী জাহিদুল ইসলাম (২৪), মেহেদী হাসান (২০) ও মারুফ সরদারকে (২০) নিয়ে টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
এসময় দক্ষিণ চাঁদশী কুমারভাঙ্গা সেতুর ওপর পৌঁছালে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে নীল মনি মন্ডল, সজীব মন্ডলসহ সাত-আটজন সন্ত্রাসী রড, লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ফাহিমের শরীরের একাধিক স্থানে কুপিয়ে জখম করে বাঁ পায়ের রগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ওই হামলায় ফাহিমের তিন সহযোগীও আহত হন।
ফাহিম সরদার অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজ করে আসছিল। আমি এর প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা চালানো হয়।
ফাহিম সরদার ও তাঁর সহযোগীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রোববার বেলা ১১টার দিকে থানাহাজতে সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় আমি জড়িত নই।’ এ ঘটনায় অভিযুক্ত নীল মনি মন্ডলের কাছে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, ফাহিমের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মো. রাব্বি সরদার বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।