ছাত্রীনিবাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহী নগরীর হোসেনীগঞ্জ বেতপট্টি এলাকার একটি ছাত্রীনিবাস থেকে সুরাইয়া খাতুন (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল মরদেহটি। আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম।
ওই শিক্ষার্থীর নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় বালাইর গ্রামের শহিদুল মহুরির মেয়ে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মহানগরীর হোসনীগঞ্জ বেতপট্ট এলাকার তটিনী লজ ছাত্রীনিবাসে থেকে পড়াশোনা করতো।
সুরাইয়া খাতুনের রুমমেট নিতু জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সকালে হেতেমখাঁ এলাকায় অবস্থিত নিউরণ প্লাস কোচিং সেন্টারে ক্লাস করতে যায় সুরাইয়া। সেখান থেকে দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রীনিবাসে ফিরে রুমের দরজা লাগিয়ে দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তাকে ডাকতে দারজায় ধাক্কা দিলেও কোন শাড়া শব্দ পাওয়া যায় না। এই সময় দরজার একটি ছিদ্র দিয়ে উকি দিয়ে দেখা যায় ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে ঝুলছে সুরাইয়ার মরদেহ। পরে রুমমেটের চিৎকারে ছাত্রীনিবাসের অনান্য সদস্যরা ছুটে আসেন এবং বোয়ালিয়া থানা পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও সঙ্গিয় ফোর্স ঘটনা স্থলে পৌঁছায় এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের ডেকে ঘরের দারজা ভেঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, রুমের দরজা দীর্ঘক্ষণ ধরে বন্ধ পায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। অনেক ডাকাডাকির পরও ঘরের দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেয় তারা। পরে পুলিশ গিয়েও ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো অবস্থায় পায়। দরজা ভাঙার জন্য পরে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকা হয়। পরে দরজা ভেঙে ঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হয়েছে। কিন্তু কেন এই আত্মহত্যা তা জানা যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলাও হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।