দলবল নিয়ে ঢাবি ছাত্রকে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে দলবল নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১টার দিকে ফুলার রোডের উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মারধরের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত অতনু বর্মণ জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত অতনু বর্মণ। আর ভুক্তভোগী ছাত্র রাকিবুল হাসান সজীব বিশ্ববিদ্যোলয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, উদয়ন স্কুলের সামনে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অতনু বর্মণের নেতৃত্বে মারধর করা হয় সজীবকে। পরবর্তীতে কয়েকজন মিলে তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মারধরের শিকার সজীব বলেন, ‘বাইক নিয়ে আসার সময় আমার বন্ধু হাসিব ডাক দেয়। আমি ইউ-টার্ন নেওয়ার সময় অতনু বর্মণ অনুসারীদের নিয়ে বাইক বহরে যাচ্ছিলেন। ওইসময় সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়িয়ে আমি দাঁড়িয়ে যাই। তখন তারা আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে আমি জবাবে বলি, ‘এই ভাই, খাঁড়ান!’
আরো পড়ুন: স্থানীয়দের হেনস্তার প্রতিবাদে উপাচার্য ভবনের সামনে চবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
তিনি আরো বলেন, ‘এ কথা বলার পর হঠাৎ অতনু বর্মণের নেতৃত্বে আমার ওপর জগন্নাথ হলের প্রায় ২০ জন এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে। কয়েক মিনিট ধরে গণহারে মারধর করে। এতে আমার মাথা, কান, গলাসহ সারা শরীকে আঘাত করে। এ সময় আমি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দিলেও তারা মারা থামায়নি।’ পরে দুই বন্ধু এসে তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান বলেন জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অতনু বর্মণ বলেন, ‘উল্টোদিক থেকে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমার পরিচয় পাওয়ার পর ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমি একা ছিলাম, সঙ্গে কেউ ছিল না।’
এ সময় হাসপাতালে সজীবের চিকিৎসার কথা বলা হলে অতনু বর্মণ বলেন, ‘আমি যাওয়ার পর তার সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে তা জানি না। তবে আমি কোনো মারধর করিনি।’