ছাত্রকে হত্যার পর গুম, দুজনের ফাঁসি
শরীয়তপুরের জাজিরায় শাকিল মাদবর নামে এক ছাত্রকে ক্রিকেট খেলার কথা বলে ডেকে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি, হত্যা ও লাশ গুম করার অপরাধে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. ছালাম খান আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। শাকিল পূর্ব নাওডোবা অ্যাম্বিশন কিন্ডার গার্টেনের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ইমরান মোড়ল ও সাকিব বাবু। অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একজনের উচ্চ আদালতে আপিল থাকায় রায় স্থগিত রাখা হয়েছে তার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ জুন শাকিল মাদবরকে ক্রিকেট খেলার নাম করে অপহরণ করা হয়। পরে মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে শাকিলকে হত্যা করে পদ্মা সেতুর ৩৯ নম্বর পিলারের কাছে মাটিচাপা দেয় অপহরণকারীরা। শাকিলের পিতা ছালাম মাদবর জাজিরা থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে শাকিলকে ডেকে নেয়া শাকিব বাবুকে আটক করে পুলিশ। তার তথ্য অনুযায়ী শাকিলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া সম্পৃক্ত সাতজনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আ. ছালাম খান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন: স্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর
এ রায়ে দুই পক্ষই ন্যায়বিচার বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন। বাদি ছালাম মাদবর বলেন, এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে পারছি না। উচ্চ আদালতে আপিল করব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ বলেন, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অন্যরা আসামি হয়েছে। সেই মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে চারজনকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাদি উচ্চ আদালতে যাবেনন, আমি সহমত প্রকাশ করছি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুরাদ বলেন, আসামিরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব আমরা।