আত্মঘাতী দুই বান্ধবীর সুইসাইড নোটে লেখা শেষ ইচ্ছা
বিয়ে ঠিক হয়েছিল এক বান্ধবীর। খবরটা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি অন্যজন। একজন অপরজনকে ছেড়ে থাকতে পারবেন না। তাই শেষমেশ নিজেদের শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দুই অভিন্নহৃদয় বান্ধবী। বাড়ি থেকে একই ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হল দুই বান্ধবীর দেহ। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪২নং ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ নগর এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম প্রিয়াঙ্কা বর্মন এবং দীপ্তি রায়, তাদের বয়স ১৮ বছর। তারা একে অপরের প্রতিবেশী ও বন্ধু ছিলেন বলেই দাবি করেছেন দুই পরিবারের সদস্যরা। তাদের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি সুইসাইড নোট থেকে দু’জনের সমকামী সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে বলেই দাবি করছে পরিবার ও প্রতিবেশীদের একাংশ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা।
তাদের সুইসাইড নোটে লেখা— ‘স্যরি , আমাদের আলাদা করবেন না। একসঙ্গে নিয়ে যাবেন, একসঙ্গে রাখবেন, আমাদের সব কাজ একসঙ্গে করবেন।’
সুইসাইড নোটে তারা পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে আরও জানিয়েছেন, মা-বাবার স্বপ্নপূরণ করতে পারেনি, কিন্তু দীপ্তি বা প্রিয়াংকা কেউ-ই একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবে না।
দীপ্তির ঠাকুর দাদা রজত রায় জানান, আশীর্বাদ করতে যাওয়ার দিনও নাতনিকে জিজ্ঞেস করে যাই যে ছেলে পছন্দ কিনা, সে কোনো আপত্তি করেনি, বিয়ের সব আয়োজন শেষ, সন্ধ্যাবেলা শুনতে পারি তারা সুইসাইড করেছে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।'
প্রিয়াংকার মা বলেন, সবসময় দুজনে একসঙ্গে থাকত, ছোটবেলার থেকে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা, ঘোরাফেরা। সকালে কাজে বের হওয়ার সময়ও কিছু বুঝতে পারিনি। বাড়ি ফাঁকা ছিল। ওরা যে এ রকম করবে তা বুঝতে পারিনি কখনও।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন