০২ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৩৫

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মৌ জানল, বড় বোন আর নেই

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী মাইশা মমতাজ মীম  © সংগৃহীত

শিক্ষক পিতার ছোট মেয়ে রূপসী মমতাজ মৌ। শুক্রবার বাবার হাত ধরে গিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। এরপরই রাজধানীর সড়কে গাড়িচাপায় নিহত হন মাইশা মমতাজ মীম। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। মেয়েকে পরীক্ষার হলে ঢুকিয়ে দিয়ে বড় মেয়ে মীমের মৃত্যুর খবর পান নূর মোহাম্মদ মামুন। পরীক্ষা শেষ করে মৌ জানতে পারে, বড় বোন মীমের মৃত্যুর খবর।

মেয়ের মৃত্যুর খবরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষক পিতা নূর মোহাম্মদ। চেতনা ফিরে পেয়েই বিলাপ করছিলেন মেয়ের জন্য। দুই মেয়েকে নিয়ে অনেক স্পপ্ন থাকলেও সড়কের যান তা চুরমার করে দিয়েছে।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভারের নিচে একটি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মীম গুরুতর আহত হয়। এরপর প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মীমের মামা এ কে এম হাবিবুর রহমান চুন্নু বলেন, বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন ছিল মীমের। সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। এদিনই ছোট বোনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিয়ে ফিরে জানতে পারে, বড় বোন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মা জেনেছে বিকেলে।

আরো পড়ুন: রাজধানীর সড়কে নর্থ সাউথের ছাত্রীকে পিষে দিল গাড়ি

হাবীবুর রহমান চুন্নু বলেন, ‘বুধবারও ভাগনির সঙ্গে কথা হয়েছে। সে খুব মিশুক ছিল। সকালে মীমের বাবা মৌকে নিয়ে মিরপুর এসেছিল। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সিট ছিল বাংলা কলেজে। পরীক্ষা শেষে মিরপুরে আমাদের বাসায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সব ওলট-পালট হয়ে গেল।’

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মীম নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে এক কাভার্ড ভ্যান চালককে আটক করেছে পুলিশ। আটক চালকের নাম সাইদুল। তবে তাৎক্ষিণকভাবে তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১০টার পর চট্রগ্রাম থেকে কাভার্ড ভ্যানের চালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের ঢাকায় আনা হচ্ছে।