৩১ মার্চ ২০২২, ০৯:১৩

অন্যের বউকে বিয়ে বড় ভাইয়ের, প্রতিশোধ নিতে মাদ্রাসাছাত্র ছোট ভাইকে খুন

হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন ও মাদ্রাসাছাত্র মাহফুজুর রহমান সাজিদ  © সংগৃহীত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ঘরে ঢুকে মাদ্রাসাছাত্র মাহফুজুর রহমান সাজিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশের জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। বুধবার (৩০ মার্চ) জেলা গোয়েন্দা শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, বড় ভাইয়ের প্রেম ও বিয়ের জেরে ওই নারীর সাবেক স্বামী ও তার মামাতো ভাই মিলে ছোট ভাই সাজিদকে হত্যা করেন। পরে সাজিদের রক্তমাখা জামা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মো. হান্নান (৪৫) ও নান্দাইলের রহিমপুর গ্রামের মো. আরমান (১৯)। গত মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, হান্নান গাজীপুরের ভবানীপুরে সপরিবার বসবাস করতেন। সংসার চালাতেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে। তবে একা সংসার চালাতে না পেরে তার স্ত্রী রুনা বেগমকে পোশাক কারখানায় চাকরি নিতে বলেন। এরপর তিনি চাকরি নেন।

ওসি বলেন, সাজিদের বড় ভাই মো. রবিউল আওয়াল শুভ হান্নানের স্ত্রীর সঙ্গে তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তিনিও ভবানীপুর এলাকায় বসবাস করতেন। একপর্যায়ে শুভ ও রুনা বেগমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৪-৫ মাস আগে রুনা বেগম দুই সন্তানকে ফেলে রেখে শুভকে বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ হান্নান প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

আরো পড়ুন: ঘুম থেকে উঠেই রুহির প্রশ্ন—মা কোথায়, স্কুলে যাব তো

সফিকুল ইসলাম আরও বলেন, গত ২৬ মার্চ হান্নান মিয়া রহিমপুর গ্রামে মামাতো ভাই আরমানের বাড়িতে আসেন। ওই দিন মধ্যরাতে সাজিদের ঘরে প্রবেশ করে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যান। পরদিন ২৭ মার্চ পুলিশ সাজিদের মরদেহ মরদেহ উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তার আসামিদের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলের কাছেই পুকুরের পাড় থেকে সাজিদের রক্তমাখা জামা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৮ মার্চ সাজিদের মা ইয়াসমিন বেগম বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা করেন। মাহফুজুর রহমান সাজিদ উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করত।