বাইরে কাঁদছিল অবুঝ শিশুটি, প্রতিবেশীরা গিয়ে পেলেন মায়ের লাশ
ঢাকার সবুজবাগ এলাকায় ঘরে ঢুকে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে তানিয়া আক্তার (২৬) নামে ওই নারীকে হত্যা করা হয়। দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামী মাইনুল হোসেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চাকরি করেন, থাকেনও সেখানে।
জানা গেছে, শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে মাস্টারবাড়ি এলাকার চারতলা ভবনটির দ্বিতীয় তলার বাসায় তানিয়া আক্তার খুন হন। পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, তানিয়ার ছেলের বয়স ১০ মাস আর মেয়ের বয়স ৩ বছর। বিকেলে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে মেয়েটির মুখে টেপ পেঁচিয়ে দেয়। পরে তানিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে মেয়ে কান্না করলে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁকে।
সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে গিয়ে দেখেন, তানিয়ার রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। মাথা ও পিঠে জখম দেখা গেছে। স্বামী মাইনুল হোসেন মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, বাসায় এয়ারকুলার ঠিক করতে একজন আসার কথা ছিল। তানিয়াকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে জানান ওসি।
আরো পড়ুন: ফোন পেয়ে বের হওয়ার ১১দিন পর মিলল ছাত্রের পচা লাশ
জানা গেছে, তানিয়ার মেয়েকে এক প্রতিবেশীর বাসায় রাখা হয়েছে। আর ১০ মাস বয়সী ছেলে শিশু অসুস্থ হওয়ায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তানিয়ার প্রতিবেশীরা তার সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য দিতে পারেননি। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন সিআইডি ক্রাইমসিন বিভাগের সদস্যরা।
এ বিষয়ে পুলিশের সবুজবাগ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ ও কারা জড়িত, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তানিয়ার গ্রামের বাড়ি রংপুরে। তাঁর স্বামী এলে বিস্তারিত জানা যাবে।