পরিবারের হাল ধরতে এপ্রিলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রীতির
আগামী মাসের ১ তারিখে চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সামিয়া আফনান প্রীতির। চাকরি করে বাবা-মার অভাবের সংসারে নিজেও কিছু সহায়তা করবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু পরিবারকে আর আর্থিকভাবে সহায়তা করা হলো না। রাজধানীর শাহজাহানপুরে একজনকে হত্যার উদ্দেশে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হলেন।
আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতির (২২) বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। সেই গুলিতে নিহত হন রিকশায় থাকা প্রীতি। গুলিতে মারা যান টিপুও।
আরও পড়ুন: মা বলেছিল, ‘আজকে তোর আসার দরকার নাই’
প্রীতির বান্ধবী সুমাইয়া বলেন, মা-বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পশ্চিম শান্তিবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন প্রীতি। রিকশার ওঠার কিছুক্ষণ পরই একটি শব্দ শুনেন তারা। এরপরই দুইজনই রিকশা থেকে পড়ে যান। প্রীতির গায়ে রক্ত দেখে আশেপাশের লোকজন বলেন গুলি লেগেছে। ঢাকা মেডিকেলে আসার পর প্রীতিকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেছেন প্রীতির মা। মেডিকেলে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন তিনি। আমি কী জানতাম এমন দুর্ঘটনা ঘটবে- এই বলে মাতম করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মামলা করবে না প্রীতির পরিবার, বললেন ‘বিচার কার কাছে চাইবো?’
প্রীতির বাবা জামালউদ্দিন বলেন, প্রীতির মোবাইল থেকে একটা কল আসে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে আসতে বলে। তখনো এমন দুর্ঘটনার কথা জানতাম না। এসে দেখি প্রীতি আর নেই। তার পিঠে গুলি লেগেছে।