যশোর বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অফিসের কম্পিউটার যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন– যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব-কমন সার্ভিস জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুল ইসলাম, নিরাপত্তা অফিসার মনির হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন, ক্রীড়া অফিসার আ ফ ম আসাফুদৌলা, অডিট অফিসার আব্দুস সালাম, হিসাব অফিসার মিজানুর রহমান ও মোছা. জাহানারা খাতুন এবং সিস্টেম অ্যানালিস্ট শরিফ সালমা কহিনুর। তারা সবাই ক্রয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা আমির হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তিন অর্থবছরে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার ক্রয় বাবদ বাজার মূল্যের অতিরিক্ত এক কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা ব্যয়ের অভিযোগ ওঠে। দুদকের অনুসন্ধানে যা সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাড়া বিতর্কে ছাত্রকে মারধর, প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ
ঘটনার বিবরণে আরও জানা যায়, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ও প্রিন্টার ক্রয় বাবদ মোট ৩ কোটি ১৬ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৬ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। অনুসন্ধানকালে বাজারমূল্য যাচাই করে এক কোটি ২০ লাখ ১৪ টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রমাণ মিলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রথম চেক জালিয়াতি ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ৭ কোটি টাকা। ১৮ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল এ বিষয়ে বোর্ডচেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় যা ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজাকে ওএসসডি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।