ভিডিও কলে প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে, প্রেমিক-প্রেমিকার আত্মহত্যা
বগুড়ার শিবগঞ্জে মোহাম্মদ সবুজ (২১) ও মার্জিয়া জান্নাত (১৮) নামের দুই তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) রাতে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে নিজ নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাপসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি, সবুজ ও মার্জিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের জেরে অভিমান করেই আত্মহত্যা করেছেন তারা।
জানা যায়, সবুজ উপজেলার দামগাড়া কারিগরপাড়ার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে সবুজ। তিনি পেশায় কৃষিশ্রমিক। এদিকে মার্জিয়া মাসিমপুর চালুঞ্জা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। স্থানীয় নামুজা ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল মার্জিয়ার।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, মার্জিয়ার সঙ্গে সবুজ মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মার্জিয়াদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল। পক্ষান্তরে সবুজ সড়ক মেরামত কাজে নিয়োজিত একজন শ্রমিক ছিলেন। যে কারণে মার্জিয়াদের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি।
মাঝিহট্ট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকবার আলী তালুকদার জানান, প্রায় এক মাস আগে পরিবারের সদস্যরা মার্জিয়াকে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের খেওনি বিন্নাচাপড় গ্রামের বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এ বিয়ে মানতে পারেনিমার্জিয়া।
তিনি বলেন, স্বামী বিদেশে অবস্থান করলেও মার্জিয়া তার শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতো বলে শুনেছি। তবে বিয়ের পরেও মার্জিয়া যে সবুজের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল সেটা হয়তো পরিবারের সদস্যরা জানতো না।
শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস জানান, সোমবার রাতে মার্জিয়ার সঙ্গে সবুজের কথা হয়। তখনই হয়তো তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে মার্জিয়া তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে রাত ১০টার দিকে সবুজ তার ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জেনেছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- প্রচণ্ড আবেগের কারণে তারা দু’জন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে।