দোকানে জনসম্মুখে মারধর, লজ্জায় মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও জনসম্মুখে মারধরের শিকার হওয়ায় ঘটনার দু’দিন পরে মাসুমা আক্তার (১৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (২১ মার্চ) সকালে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিছুজ্জামান লালন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার বিকালে নিজ বাসায় আত্মহত্যা করে মাসুমা।
নিহত মাসুমা আক্তার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ার আমিনুল ইসলামের কন্যা ও চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার আলিম (এইচএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে মাসুমার বাবার দোকানে পৌর এলাকার আরামপাড়ার মোবারকের ছেলে কালামের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে একজনের মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ সময় দোকানে থাকা মাসুমা দোকানের মধ্যে মারামারি করতে নিষেধ করে। এতে মাসুমার ওপর ক্ষিপ্ত কালাম হয়ে তাকে প্রকাশ্যে চড়-ঘুষি মারেন। এছাড়া হাতুড়ি নিয়ে পেটাতে গেলে মাসুমা পালিয়ে পাশের একটি বাসায় আশ্রয় নেয়। এদিকে রবিবার স্থানীয়ভাবে এ ঘটনার মীমাংসা করার কথা ছিল। তবে এর আগেই লোকলজ্জার ভয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাসুমা।
আরও পড়ুন : শহীদ মিনারে টিকটক ও অশালীন কার্যক্রম, আটক ৬ তরুণ-তরুণী
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, চার বোনের মধ্যে মাসুমা আক্তার সবার ছোট। কালাম দীর্ঘ দিন ধরে মাসুমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এর আগে, কয়েকবার অ্যাসিড মারার হুমকিও দিয়েছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিছুজ্জামান লালন জানান, বাবা অসুস্থ থাকায় মাসুমা পড়াশোনার পাশাপাশি দোকান করত। শুক্রবার দোকানের মধ্যে স্থানীয় এক যুবক তাকে চড়-ঘুষি মারে। লোকলজ্জায় ওই মাদ্রাসাছাত্রী আত্মহত্যা করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।