স্কুল শিক্ষিকার রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী
স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণা কুর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় কুর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ মার্চ) নিহত স্কুল শিক্ষিকার চাচা রাম প্রসাদ কুর্মী বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন নিহতের স্বামী সঞ্জয় কুর্মীর মা, বাবা ও দুই বোন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের হিসাবে ৫২ শিশুসহ ৭২৬ বেসামরিক লোকের মৃত্যু
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ বছর আগে সঞ্জয়ের সাথে ঝর্ণার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্য পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার সময় সঞ্জয়ের পরিবারের সদস্যরা ঝর্ণাকে মারধর করতো। গত শুক্রবার সঞ্জয় ও তার পবিবারের লোকেরা ঝর্ণাকে মেরে শাড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে আমাদের খবর দেয় ঝর্ণা আত্মহত্যা করেছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি শামীম অর রশিদ তালুকদার বলেন, আমরা মামলা নথিভূক্ত করেছি। আসামি সঞ্জয় কুর্মীকে জেল থাজতে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ফ্যানে ঝুলছিল স্কুল শিক্ষিকার লাশ
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি ঝর্ণার স্বামী সঞ্জয় কুর্মী জানিয়েছিলেন, ‘সকালে ঝর্ণাকে বাসায় রেখে শহরে আসি। দুপুরে খবর পাই সে আত্মহত্যা করেছে। বাসায় গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের ভাড়া বাসা থেকে স্কুল শিক্ষিকা ঝর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ঝর্ণা কুর্মী চাতল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। তিনি পরিবার নিয়ে শহরের সুরভী পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখান থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর নিহতের চাচা পলাশ কুর্মী এ ঘটনাকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বর্ণনা করে থানায় মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন।