০২ মার্চ ২০২২, ২১:৫৮

‘আজকে তোকে মেরেই ফেলব, দেখি কে তোকে বাঁচায়’

মো. এহসানুল হক ও বেনজির হোসেন নিশি  © ফাইল ফটো

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশির বিরুদ্ধে একই সংগঠনের সাবেক একা নেতাকে মারধরের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. এহসানুল হক ওরফে ইয়াসির বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির আবেদন করা হয়। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ শেষে বুধবার (২ মার্চ) পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন ঢাবির মাহবুব

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায় ভুক্তভোগী ইয়াসির। এরপর রাত পৌনে ১টার দিকে শহীদ মিনারের মূল বেদিতে ফুল দেওয়া শেষে আসার সময় আসামি নিশি ভুক্তভোগী ইয়াসিরকে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায় আঘাত করতে থাকেন এবং বলতে থাকে তোর এত বড় সাহস আমাকে ধাক্কা দিস, আমাকে চিনিস, আমি ছাত্রলীগ নেত্রী নিশি, আজকে তোকে জানেই মেরে ফেলব। এ সময় ভুক্তভোগী ইয়াসির আসামি নিশিকে ধাক্কা দেয়নি বলে জানালেও তাকে আঘাত করেন নিশি। এতে তার মাথা ফেটে যায়। ভুক্তভোগী শহীদ মিনারের ফ্লোরে পড়ে যান। তখন আসামি নিশি ভুক্তভোগী ইয়াসিরের ম্যানিব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় এবং এলোপাতাড়ি লাথি মারতে থাকেন। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ইয়াসিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলায় পা দিয়ে চেপে ধরেন নিশি এবং বলতে থাকেন আজকে তোকে মেরেই ফেলব, দেখি কে তোকে বাঁচায়। এর ফলে ভুক্তভোগী ইয়াসির অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’

আরও পড়ুন: ভারতের পতাকা দেখিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত পার হলেন পাকিস্তান-তুরস্কের শিক্ষার্থীরা

এর আগে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে ফাল্গুনী দাস তন্বী নামের এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে নিশির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সেই মামলা তদন্ত করে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দেয়। পরে আদালত নিশিসহ তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন তারা।