এমবিবিএস সনদ জালিয়াতি করে ১৭ বছর চিকিৎসাসেবা
অন্যের এমবিবিএস সনদ জালিয়াতি করে বগুড়ার আদমদীঘিতে চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত আবদুর রশিদ সরকার নামে এক প্রতারককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া তাকে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের জেল দেওয়া হয়। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রূপম দাস এ সাজা দেন।
আদালত সূত্র জানায়, আবদুর রশিদ সরকার কুমিল্লার মুরাদনগরের পীরকাসিমপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত বাহার আলী সরকারের ছেলে। শনিবার দুপুরে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।
কাগজপত্র তল্লাশি করলে আদালত জানতে পারেন, আবদুর রশিদ সরকার একজন পল্লিচিকিৎসক। তিনি ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর লেখাপড়া ছেড়ে দেন। নামের মিল থাকায় তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের একজন মেডিকেল অফিসারের ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা শুরু করেন। নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন হিসেবে তিনি গত ২০০৫ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। বর্তমানে কিছুদিন ধরে তিনি বগুড়ার আদমদীঘির আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রূপম দাস জানান, গ্রেফতারের পর আবদুর রশিদ সরকার ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। পরে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।