এখনও মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে ভয় পাচ্ছেন চাকরিচ্যুত শরীফ
দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনের সন্তান সাবিহা। বয়স পাঁচ বছর চার মাস। ইসা সাইফান নামে আড়াই বছর বয়সী আরেকটি ছেলে সন্তান রয়েছে তার। মেয়ে সাবিহাকে গত বছর স্কুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল শরীফ ও সাদিয়া দম্পতির। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতায় এখনও মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাননি তারা।
সাদিয়া চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে ভয় করছে। ওরা যদি কিছু করে ফেলে। অনেক প্রভাবশালী আমাদের ওপর ক্ষেপে আছে। এ জন্য মেয়েকে স্কুলে দিতে ভয় পাচ্ছি আমি।’
ষোলশহর ২ নম্বর গেটের মেয়র গলির বাসায় এভাবেই আতঙ্কের কথা বলছিলেন শরীফ উদ্দিনের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী।
শরীফ দম্পতি এতদিন ছিলেন খুলশির জাকির হোসেন রোডের একটি ভাড়া বাসায়। গত ৩০ জানুয়ারি সেই বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন কর্ণফুলী গ্যাসের দুই সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। এরপর ষোলশহর এলাকার পৌত্রিক বাসায় চলে আসেন তিনি।
হুমকির ঘটনায় নগরের খুলশী থানায় একটি জিডিও করেন দুদক থেকে চাকরিচ্যুত এ কর্মকর্তা।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনদিনের ছুটিতে পটুয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের বাসায় আসেন তিনি। রোববার রাতে বাসার নিচতলায় এক অতিথির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গে এক ব্যক্তি এসে তাকে হুমকি দেন ও তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। এ সময় আইয়ুব খান তার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি (শরীফ) কেন তার (আইয়ুব) বিরুদ্ধে নিউজ করাইছি। আমার কারণে তার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি চাকরি কীভাবে করি সে দেখে নেবে। আমি চট্টগ্রামে কর্মরত থাকাকালীন অনেকের জীবন নষ্ট করে দিছি। দুদক দিয়ে আমার জীবন নষ্ট করে দেবে।’
শরীফ আরও অভিযোগ করে বলেন, এক পর্যায়ে ফোন দিয়ে লোকজন আনেন তারা। তারা তাকে ও তার পরিবারকে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।
জিডিতে যে কোনো সময় তিনি ও তার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা করা হয়েছে।