২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:০১

স্কুল শিক্ষিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা

প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা গীতা রানী পালের (৭২) মৃত্যুর ১১ দিন পর জানা গেলো তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য। ঘটনাটি ঘটে জেলার রায়পুর উপজেলায়।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

গত ৮ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত চোরদের হাতে নিহত হয় গীতা রানী। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপরই মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্ধারও হয়নি হত্যার পর লুটে নেওয়া নিহতের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার। এনিয়ে নিহতের পরিবারে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন: পছন্দের কলেজে ভর্তিতে চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গীতা রানী রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে অবসর নেন। তিনি স্বামী দীনেশ চন্দ্র পালকে নিয়ে রায়পুরের উত্তর কেরোয়া গ্রামের পাল বাড়িতে থাকতেন। দীনেশও অবসরপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক। তাদের এক ছেলে চাকরিজীবি হওয়ায় চট্টগ্রাম ও দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। ৮ ফেব্রুয়ারি খাবার শেষে বেলা ৩ টার দিকে ঘরের দরজা খোলা রেখেই আলাদা কক্ষে গীতা রানী ও দীনেশ পাল ঘুমিয়ে পড়েন। সাড়ে ৫ টার দিকে স্ত্রীকে ডাকতে গিয়ে খাটে দেখেন, গীতা রানীর মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে।

এসময় তিনি ও আশপাশের লোকজন এসে দেখেন- গীতা রানীর হাত, কান ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার নেই। ডান কানে হালকা রক্তজমাট ও মাথার সিঁদুর হালকা দেখা যায়। পাশের আরেকটি বালিশে সিঁদুর লেগে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল আসে।

এ ঘটনায় পর দিন নিহতের ছেলে বিপ্লব বিহারি পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: ১ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ঘটনার ১১ দিন পর শনিবার নিহতের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের হাতে এসেছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের খোঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।