কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা
জয়পুরহাটে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে তিশা খাতুন (১৮) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীর আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি।
নিহত তিশা খাতুন জয়পুরহাট পৌর শহরের খঞ্জনপুর উত্তরপাড়া মহল্লার খোরশেদ আলমের মেয়ে। তিশার বাবা খোরশেদ পেশায় একজন কাঠুরিয়া। তিশা স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে এসে বাংলাদেশে আটক ভারতীয় তরুণী
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, প্রায় এক বছর আগে তিশা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক মাস পর স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। প্রায় চার মাস ধরে তিশা তার বাবার বাড়ি খঞ্জনপুর উত্তরপাড়ায় বসবাস করছিলেন। তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থানকালে প্রায় সময় বাহিরে ঘুরে বেড়াতেন।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) খঞ্জনপুর শ্মশানঘাটি এলাকায় বাউল গান শুনতে গিয়েছিল তিশা। এনিয়ে তিশাকে তার বাবা বকা দেন। এরপর তিশা স্বাভাবিক ছিলেন। ওই রাতে বাবার সঙ্গে ভাতও খান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার পর তিশা তার ঘরের ভেতর অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করেই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিশার বাবা খোরশেদ আলম তিশার ঘরের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন।
আরও পড়ুন: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে তরুণীর আত্মহত্যা
তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা ছুটে এসে ঘরের বন্ধ দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিশাকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তার পাশেই কেরোসিনের বোতল পড়ে ছিল। তারা তিশাকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।
তিশার বাবা খোরশেদ আলম বলেন, তিশা নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছিল। সে কি কারণে এই কাজ করল তা জানি না। তিশাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে.এম আলমগীর জাহান গণমাধ্যমকে বলেন, তিশা নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছিলেন বলে জেনেছি। তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ ঘটনাটি থানায় জানায়নি। তিশার মৃত্যুর ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।