১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২৭

৩ শিক্ষার্থী হত্যার পর নাম-পরিচয় পরিবর্তন, শেষ রক্ষা হয়নি বাপ্পীর

সংগৃহীত  © ছবি

নিজের ও বাবার নাম পরিবর্তন এবং ঠিকানা পাল্টে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বাপ্পি (৩১)। সেই পরিচয়পত্র নিয়ে যায় সৌদি আরবেও। তবে এতকিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি তার। নোয়াখালী সরকারি কলেজের ৩ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা মামলায় পাঁচ নম্বর আসামি ছিল এই বাপ্পি।

দেশে ফেরার পর গত ৯ জানুয়ারি মাদকসহ কুমিল্লার লাকসামে গ্রেপ্তার হয়। কারাগারে থাকা এ আসামির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোরশেদ খান এ আদেশ দেন। নোয়াখালী আদালতের এপিপি এমদাদ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: কারাগারে ছাত্রলীগ নেতার সেলফি বিলাস

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ দুপুরে নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পাশের একটি পুকুরে কুকুরকে গোসল করানো নিয়ে দ্বন্দ্বে অনন্তপুর গ্রামে রাত ৯টার দিকে কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে গুলি করে একই গ্রামের হাজী কুদরত উল্যাহর ছেলে সাজু ও সৌরভ। এতে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাইজদী গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওয়াসিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ছাড়া তার দুই বন্ধু একই গ্রামের ফজলে রাব্বী রাজিব (২২) ও জামসেদুল হক ইয়াছিন (২৩) গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরও মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২২ মার্চ রাতে নিহত রাজিবের মা কামরুন্নাহার ছবি সাজুসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন। এরপরই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।