১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:২৪

টিকা নিতে যাওয়ার পথে কিশোরীকে অপহরণ

আকাশ হোসেন  © ফাইল ফটো

চুয়াডাঙ্গায় করোনার টিকা নিতে গিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে আকাশ হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আমলি আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে রাতে মামলার প্রধান আসামি আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতার আকাশ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুঁকিয়াচাঁদপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অপহরণের শিকার ছাত্রী কুঁকিয়াচাঁদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি থেকে রওনা দেয় সে। চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। গ্রামের বেলেমাঠ জায়গায় পৌঁছালে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যান আকাশ হোসেন ও তার বন্ধুরা।

মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে বুধবার বিকেলে আকাশকে প্রধান আসামিসহ আরও চারজনের নাম উল্লেখ করে দর্শনায় একটি মামলা করেন মেয়েটির বাবা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-কুঁকিয়াচাঁদপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে বিদ্যুত হোসেন (২৭), একই গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে ফরজ আলী (৩৫), তালেব হোসেনের ছেলে সুজন আলী (২৫) ও দীননাথপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে কালাম মিয়া (২৭)।

অপহরণের শিকার মেয়েটির বাবা বলেন, ‘এর আগেও আমার মেয়ে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আকাশ তার বন্ধুদের নিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। কুপ্রস্তাব দিতো। বিষয়টি আমি আকাশের পরিবারকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি।’

তবে গ্রেফতার আকাশের বাবা মিলন হোসেনের দাবি, তার ছেলে আকাশের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সে স্বেচ্ছায় আকাশের কাছে এসেছে। তাকে কেউ অপহরণ করেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল কবীর বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় মেয়েটিকেও উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করে আদালতের বিচারকের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে।