সাতকানিয়ায় স্কুলছাত্র তাসিব নিহতের ঘটনায় মামলা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ইউপি নির্বাচন চলাকালে সহিংসতায় স্কুলছাত্র মো. তাসিব নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র তাসিবের বাবা মো. জসিম উদ্দিন সাতকানিয়া থানায় গিয়ে এই হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
নিহত তাসিবের চাচা মিজানুর রহমান জানান, কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট চলছিল। হঠাৎ দুপুরে নৌকা প্রার্থীর বহিরাগত লোকজন এসে পাশের দোকানে হামলা করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাসিব গুরুতর জখম হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের বৈধতা নিয়ে ফের বিপাকে নাসির-তামিমা
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সপ্তম ধাপে সাতকানিয়ার ১৬টি ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। সেখানে নির্বাচনের দিন এক পর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তারা দফায় দফায় ধাওয়া -পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বিনিময় করেন। তখন নৌকার লোকজন কিশোর তাসিবকে প্রতিপক্ষের কর্মী মনে করে কিরিচ দিয়ে গলায় ও মাথায় কোপ দেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাসিবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহত তাসিবের বাবা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ভোটের দিন সকাল থেকে নৌকার প্রার্থীর ভোটারদের রিকশায় করে কেন্দ্রে আনা-নেওয়া করছিলাম। বেলা ১১টার দিকে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সশস্ত্র কর্মী-সমর্থক ভোটকেন্দ্রে এলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় এক পক্ষ কিরিচের কোপ দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। কারা হত্যা করেছে আমি দেখিনি। তাই অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছি। আশা করছি, পুলিশ আমার ছেলেকে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চাই।’
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার দে বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় কিশোর তাসিব নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৭০-৮০ জন লোক মিছিল নিয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে আসেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মিছিল নিয়ে আসা লোকদের মধ্যে একজন কিশোর তাসিবের গলায় ও মাথায় কিরিচের কোপ দেন। এতে তাসিবের মৃত্যু হয়।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, তাসিব হত্যা মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হলেও ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।