পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যা, ডোবায় পড়েছিল কিশোরের মরদেহ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের আট দিন পর শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে পৌরসভার বাগ মহিষা ঋষিপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে নিখোঁজ ফয়সালের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব। নিহত কিশোর লাহাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁও পৌর এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপূর্ব শীলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। অপূর্ব বাগ মহিষা ঋষিপাড়া গ্রামের তপন শীলের ছেলে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
র্যাব-১১ সিইও লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন অপূর্ব।
গত ২৬ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে পৌর এলাকার লাহাপাড়া গ্রামের মামার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেনি ফয়সাল। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন ফয়সালের মামা মো. মানিক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে ৭ ছাত্র হত্যা, একটিরও বিচার হয়নি
র্যাব-১১ গোয়েন্দা দল নিখোঁজ ফয়সালের সন্ধানে নামেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপূর্ব শীলকে শনাক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব সদস্যরা সোনারগাঁও পৌর এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অপূর্ব জানায়, ফয়সালকে একটি নীল রঙের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে রাখে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নিখোঁজের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।