০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:৩৫

ঢাবি ছাত্র পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, ঢাকায় প্রতারণা

সিআইডির হাতে আটক প্রতারক  © সংগৃহীত

কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবার কখনো খুলনা আইন কলেজের সাবেক ভিপি পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন নিজ এলাকায়। আবার সরকারি অফিসারের ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে ঢাকায় অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মো. রাশেদুল ইসলাম নামে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের এই ভুয়া বেঞ্চ অফিসারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো) ইমাম হোসেন।

তিনি বলেন, রাশেদুল ইসলাম তার নিজ নাম ব্যবহার করে বেঞ্চ অফিসারের ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগে অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। তিনি কখনো নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবার কখনো খুলনা আইন কলেজের সাবেক ভিপি পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। বেঞ্চ অফিসার হিসেবে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে তার হাত রয়েছে মর্মে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, আসামিদের জামিন/খালাস করানোসহ আদালতের যাবতীয় কাজে পারদর্শী হিসেবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন।

ইমাম হোসেন বলেন, এছাড়া পিস্তলের লাইসেন্স করিয়ে দেওয়া, পাওনাদারের টাকা উদ্ধার করে দেওয়া ইত্যাদি নানা কাজের বিনিময়ে কমিশন হিসেবে টাকা নিতেন এই প্রতারক। সিআইডির অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত আটজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

“বাকপটু এই প্রতারক বিভিন্ন অফিসের উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে মর্মে বিশ্বাস জন্মিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। আসামির কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলে ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন কথাবার্তার অনেক অডিও মেসেজ পাওয়া গেছে।” তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়েছে বলেও জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি।

গ্রেফতারের সময় রাশেদুলের কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ অফিসার পরিচয়ের ভিজিটিং কার্ড, এ কে এম জহিরুল হকের নামে ২ লাখ টাকা দেওয়ার ওয়ান ব্যাংকের একটি চেক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।