শিকল দিয়ে বেঁধে কলেজ ছাত্রকে নির্যাতন
বরগুনার বেতাগীতে কলেজে পড়ুয়া এক ছাত্রকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী উজ্জ্বল ঢাকী (১৮) উপজেলার কাউনিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বেতাগী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এখনো পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।
সূত্র জানায়, উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের পুলেরহাট বাজার সংলগ্ন মো. আরাফাত নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দা পরিমল চন্দ্র ঢাকীর ছেলে উজ্জ্বল ঢাকী কিছু টাকা বিকাশের মাধ্যমে ধার হিসেবে নেয়। ধারের টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় গত সোমবার স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. রাজু মৃধার সহায়তায় ওই ব্যবসায়ী আরাফাত কলেজ পড়ুয়া ছাত্র উজ্জ্বলকে লোহার শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। যার ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
উজ্জ্বলের বাবা পরিমল ঢাকী জানান, যে কারো ধার দেনা থাকতে পারে। এজন্য একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে মারধর করতে হবে? থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি তারাও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভুক্তভোগী কলেজ পড়ুয়া ছাত্র উজ্জ্বল জানায়, আমি বিকাশের মাধ্যমে ব্যবসায়ী আরাফাতের কাছ থেকে টাকা পাঠিয়েছি সত্য, কিন্তু টাকাটা ভুল নম্বরে পাঠানো হয়। সে আমার পরিচিত ভাবছি কয়েকদিন পরে দিয়ে দেব। সে আমাকে একা পেয়ে সাবেক ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করেন। তাছাড়া নির্বাচনের সময় আমার পরিবার ওই ইউপি সদস্যের পক্ষ না করায় আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এমন অত্যাচার করেছেন। আমরা সংখ্যালঘু বলে আমাদের সঙ্গে এমন অমানবিক নির্যাতন করল! আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবেও হেনস্থা করেছে। আমি একজন ছাত্র হিসেবে এর বিচার চাই।
ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন বলেন, উজ্জ্বল ও তার পরিবার আমার পরিচিত। এর আগে অনেকবার লেনদেনও করেছে। তবে এইবার টাকা দিতে বিলম্ব করায় আমি ওকে দোকানে বসিয়ে রেখেছি। কে বা কারা উজ্জ্বলকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল আমার জানা নেই।
বেতাগী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুস সালাম বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।