গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই কর্মকর্তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সাবেক রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী ও আশুলিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সরোয়ার হাসানের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা (আশুলিয়া আমলি আদালত) এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির সাবেক অধ্যাপককে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংলগ্ন জমি কেনার কাজে বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত মূল্য ও রেজিস্ট্রি ফি প্রদর্শন এবং ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে বিপুল অংকের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন দেলোয়ার হোসেন ও মীর মুর্ত্তজা আলী। দলিল লেখক সরোয়ার হাসান বাবুলের সহযোগিতায় এই আত্মসাৎ করা হয়। গবি কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পায়।
পরে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আশুলিয়া আমলি আদালত) সি আর মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর আদালত পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই অভিযোগ তদন্ত করে ৭৩ লাখ ৯৪ হাজার ১৯০ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। পরে সাবেক রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী এবং আশুলিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সরোয়ার হাসান বাবুলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৩/৪০৮/৪২০/৩৪ ধারায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: হলে গাঁজা সেবনকে কেন্দ্র করে ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের উত্তেজনা
আদালত তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বৃহস্পতিবার। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আদালতে মামলার শুনানি করেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার শিহাব জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি ফি বাবদ গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইবার টাকা নিয়েছেন, যা ফৌজদারি অপরাধের শামিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি আমরাও শুনেছি কিন্তু এখনো হাতে কোন কাগজপত্র পায়নি। এছাড়া এটা আইনি বিষয় আইনিভাবেই সমাধান হবে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড দেখছে তারাই এটির পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সাবেক রেজিস্ট্রার এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকে ফোন দিলে তাদের দুইজনেরই মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।