স্কুলের সেফটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেফটিক ট্যাংক থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পোশাক দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম।
নিহত ফাহিমা বেগম (৩২) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সাত পাখিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, 'আমার বোনের ২ মেয়ে। একজনের বিয়ে হয়েছে। আমার বোন ফাহিমা ও ভগ্নীপতি জাহাঙ্গীর হোসেন যশোর উপজেলার নরেন্দ্রপুর দফাদার ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। জাহাঙ্গীর বিয়ের পর থেকে ফাহিমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো।'
আরও পড়ুনঃ ববি ছাত্রীর স্বামীকে আসামি করে মামলা, নাম নেই কোনো শিক্ষার্থীর
তিনি আরও বলেন, 'ফাহিমাকে বাড়ি থেকে যশোরে ইটভাটায় কাজ করাতে নিয়ে আসেন জাহাঙ্গীর। গত ৩ দিন ধরে বোনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি তালা থানায় অভিযোগ করি। পুলিশ জাহাঙ্গীরকে আটক করে আবার ছেড়ে দেয়।'
ঘটনার পরে থেকে জাহাঙ্গীর পলাতক আছেন বলে জানান তিনি।
নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শিবপদ বিশ্বাস বলেন, 'স্কুলের শিক্ষকরা জানান দুর্গন্ধে টেকা যাচ্ছে না। দপ্তরিসহ লোকজনকে নিয়ে খোঁজাখুঁজির পর সেফটিক ট্যাংকে মরদেহ দেখতে পাই। পুলিশকে সংবাদ দিলে বিকেলে কোতোয়ালি থানার ওসি ঘটনাস্থলে আসেন।'
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, 'যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ডোম এনে সেফটিক ট্যাংক থেকে লাশ তুলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।'