গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা, ভুগছিল শারীরিক ও মানসিক রোগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক স্কুলছাত্রীর (১৬) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের নানাবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের এক স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পরে পুলিশ মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোটবেলায় ওই ছাত্রীর মা মারা যান। তখন থেকেই সে নানার বাড়িতে বসবাস করছে। মাথাব্যথাসহ নানান শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগছিল সে। প্রতিদিনের মতো সেদিন রাতের খাবার খেয়ে নিজের শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায় সে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় তার নানা ডাকাডাকি করেন। সাড়া না দেওয়ায় নানা দরজা ভেঙে ভেতরে ডুকে বাঁশের আড়ার সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখেন। পরে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয় এবং মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ওই মেয়ের নানা বলেন, মেয়ে মরার পর থেকে নাতনি আমার বাড়িতে থাকত। সে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। হয়তো সেই অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।