১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৫১

পরীক্ষার হলে ছাত্রীর গায়ে হাত আজিজুল হক কলেজ শিক্ষকের

অভিযুক্ত প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম  © সংগৃহীত

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত প্রভাষকের নাম জাকিরুল ইসলাম (৪০)। তিনি ওই কলেজের আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক।

অভিযোগের বিষয়টি আজ রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নিশ্চিত করেছেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাজাহান আলী। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ‘মাতৃগর্ভ এবং কবর ছাড়া নেই কোনো নিরাপদ স্থান, লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

ভুক্তভোগী ছাত্রী গাবতলী বাগবাড়ী কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। গতকাল শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) কলেজ অডিটোরিয়ামের স্নাতক প্রথম বর্ষে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি আজিজুল হক কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ইমপ্রুভ পরীক্ষা চলছিল। ভুক্তভোগী ছাত্রীর প্রথম বর্ষের একটি সাবজেক্টে ফলাফল খারাপ হওয়ায় তিনি পুনরায় পরীক্ষা দিতে আসেন। কলেজ অডিটোরিয়ামে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নানা অজুহাতে তার গায়ে হাত দেন অভিযুক্ত শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: টিকা নিয়েও করোনায় মৃত্যু ঢাবি অধ্যাপকের

কিন্তু মেয়েটি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাৎক্ষণিক কোন প্রতিবাদ না করে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মা কে বিষয়টি জানালে আজ রবিবার তারা কলেজ অধ্যক্ষ কাছে আসেন এবং বিষয়টি অবগত করেন। দুপুর দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরকারি আজিজুল হক কলেজ অধ্যক্ষ তার নিজ কার্যালয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে মুখোমুখি করেন। এসময় কলেজের উচ্চপদস্থ শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম মেয়েটির শরীর স্পর্শ করার কথা স্বীকার করেন।

এ বিষয় ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা জানান, আমি আমার মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চাই। একজন শিক্ষক এরকম ন্যাক্কারজনক কাজ করতে পারে, অবিশ্বাস্য। আমার মেয়ের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শঙ্কিত।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহাজাহান আলী বলেন, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: দু’বছরের মধ্যে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিবো: ড. সৌমিত্র শেখর

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাষক জাকিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটির পরীক্ষা হলে বারবার পেছন দিকে ফিরে তাকাচ্ছিল। এজন্য আমি তাকে হাত ধরে সোজা করে দিয়েছি।

শিক্ষক আরও বলছেন, তিনি পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয় বলে দাবি তার।

আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী।