১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৩৪

জাকির আমাকে বাঁচতে দেয়নি— রাবেয়ার সুইসাইড নোট

রাবেয়া  © সংগৃহীত

শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানার ব্রিজের সামনে শরীফ মঞ্জিলের নিচতলায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রাবেয়া (১৮) নামে এক কিশোরীর লাশ ‍উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে তার লাশের সঙ্গে থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

রাবেয়া ডামুড্যার কনেশ্বর ইউনিয়নের সুতলকাঠি গ্রামের বিল্লাল সরদারের মেয়ে। তারা শরীয়তপুরের ডামুড্যার স্থানীয় বাসিন্দা।

পড়ুন: ৪-৫ বছর আমাকে ব্যবহার করে গেলা— শুভ দাসের সুইসাইড নোট

পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানা যায়, রবিবার রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে রাবেয়া ও ফারহানা (৮) ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ ফারহানা ফ্যানের সঙ্গে কিছু একটা ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় পাশের রুমে থাকা ফারহানার বাবা ফারুক শাহ দৌড়ে এসে রাবেয়ার লাশ ঝুলতে দেখেন।

এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে। এসময় তার লাশের সঙ্গে পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পড়ুন: করোনাকালেই ঢাবির ৮ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, কেন?

রাবেয়ার সুইসাইড নোট লেখা ছিল আমি রাবেয়া আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী জাকির আর জাকিরের মা, বাবা, বড় ভাই, ভাবি ও বোন। জাকির আমাকে যেমন এই পৃথিবীতে বাঁচতে দেয়নি, আমি তার কঠিন শাস্তি চাই।

পড়ুন: সুইসাইড নোট লিখে অনার্সে ফেল করা ছাত্রের আত্মহত্যা

‘‘আমাকে জাকির পৃথিবীতে থাকতে দেয়নি। আমিও চাই না, যে জাকির পৃথিবীতে বাঁচুক। আমি জাকিরের মরণ চাই। সবার কাছে আমার একটি আবেদন আমি জাকিরের কঠিন শাস্তি চাই। আমাকে মরে যেতে বাধ্য করেছে জাকির।’’

পড়ুন: আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়

রাবেয়ার বোনের শ্বশুর ফারুখ শাহ বলেন, ‘রাবেয়া আমার বেয়াইর মেয়ে হয়। আমরার বাড়িতে বেড়াতে আসে রাবেয়া। গত রাতে একসঙ্গে আমরা রাতে খাবার খাই। পরে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার মেয়ে চিৎকার করলে আমি দৌড়ে আসি। পরে এসে দেখি রাবেয়া ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তার পাশেই একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছে।’

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করি। পরে লাশটি শরীয়তপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।