ইচ্ছে করলেই কাউকে ক্রসফায়ার দিতে পারে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের সিস্টেম খুব সুন্দর। এখানে কেউ ইচ্ছে করলেই কাউকে ক্রসফায়ার দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যখন আগ্নেয়াস্ত্র তাক করেন তখন আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের জীবন রক্ষার্থে হয়ত অনেক সময় গুলি ছুড়ে থাকেন। সেটা তার জন্য বৈধ।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগ এনে র্যাব ও প্রতিষ্ঠানটির ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগ।
আরও পড়ুন- মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে বন্দুকযুদ্ধের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনারই একটি জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি হয়। যে ঘটনা ঘটল তার পেছনে যথাযথ কারণ ছিল কিনা। না গাফিলতি ছিল। কোথাও গাফিলতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকান সরকার একটি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ প্রতিবেদনটি এখনও আমার টেবিলে আসেনি। এটা আমাকে দেখতে হবে, কেন এবং কী কারণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। না দেখে পুরো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। এ সমস্ত ঘটনার পেছনে (ক্রসফায়ার) যথাযথ কারণ ছিল বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে বিগত দিনে। এ সমস্ত ঘটনা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটছে।
আরও পড়ুন- বেনজীর ও র্যাবের ডিজিসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ট্রেজারি বিভাগের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কর্মকর্তারা হলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ (র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক), র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খান।
র্যাব এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তাসহ বিশ্বের ১০ প্রতিষ্ঠান ও ১৫ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এছাড়া চীন, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নিপীড়নের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও র্যাব–৭ এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। বাংলাদেশের এ দুজন ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের ১০ কর্মকর্তার ওপর প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।