আমার কাছ থেকে কোন প্রশ্ন বাইরে যায়নি: অধ্যাপক নিখিল
প্রশ্নফাঁস করতে নয়, বরং ভুল-ত্রুটি নির্ণয়ে প্রশ্নের দুই কপি নিয়ে যেতেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (আইপিই) সাবেক বিভাগীয় প্রধান থেকে অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধর।
প্রশ্নফাঁস নিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই দাবি করেছেন তিনি। তার কাছ থেকে প্রশ্নফাঁস হয়নি বলেও দাবি তার।
এদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ব পাঁচ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তবে নিখিল রঞ্জন ধর তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। দায়িত্ব থেকেই তিনি প্রেসে গেছেন এবং কাজটি তদারকি করেছেন।
পড়ুন: নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন
রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) এ পরীক্ষা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরইমধ্যে প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আটকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে অধ্যাপক নিখিলের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রথম সামনে আসে।
তারা বলছেন, নিয়োগ পরীক্ষার প্রত্যেকটি প্রশ্নের দুই কপি ব্যাগে করে নিখিল নিয়ে যেতেন। প্রেসের কর্মকর্তাদের তিনি তার ব্যাগে প্রশ্নের কপি রেখে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিতেন। তিনি আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপা ও পরীক্ষা আয়োজনের সব কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন।
তবে নিখিল রঞ্জন ধর বলেছেন, মূলত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ডাকে তিনি ছাপাখানায় যেতেন। পরীক্ষা কমিটিতে না থেকেও কেন যেতেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত পরীক্ষার সিটপ্ল্যান করতাম, অন্য শিক্ষকরাও থাকতেন।
তিনি আরও বলেন, সবাই মিলে একসঙ্গে সিটপ্ল্যান তদারক করতাম। আর ছাপা প্রশ্নে কোন ভুল আছে কিনা সেটা দেখার জন্যই দুই কপি ব্যাগে করে নিয়ে আসতাম। পরে তা ফেলেও দিতাম। আমার কাছ থেকে কোন প্রশ্ন বাইরে যায়নি।