প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জনতা ও রূপালী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত
সরকারি পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জনতা ও রুপালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ব্যাংক দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার শামসুল হক শ্যামল, রুপালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা জানে আলম মিলন, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা এমদাদুল হক খোকন ও সোহেল রানা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে দাবি করে পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নামে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। ৬ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের তেজগাঁও জোনাল টিম অভিযান অভিযান চালিয়ে একটি চক্রের পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।
তারা হলেন, আহসানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ানের মোক্তারুজ্জামান রয়েল(২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রুপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন(৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর হরমান মিলন(৩৮) ও চাকরিপ্রার্থী স্বপন।
এর পর ১১ নভেম্বর জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন ও সোহেল রানা এবং এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার ডিবি পুলিশ।