পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস: পূবালী ব্যাংকের সেই কর্মকর্তা বরখাস্ত
রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করেছে ব্যাংকটি। বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে ব্যাংকটির জনসংযোগ বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কেউ অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে, এজন্য ব্যাংকতো আর দায়ভার নেবে না। এটা ব্যাংকের শাস্তি মাত্র, প্রশাসনিক শাস্তিতো রয়ে গেছে।
এছাড়া ব্যাংকটির জেনারেল ম্যানেজার আহমেদ এনায়েত মনজুর এবং ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শহিদ খান স্বাক্ষরিত সাসপেন্ড (বরখাস্ত) লেটার (চিঠি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৬ নভেম্বর থেকে বুধবার পর্যন্ত ডিবি তেজগাঁও বিভাগের জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এ অভিযানে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ওয়াহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় তেজগাঁও জোনাল টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহদাত হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতা আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (৩৮) ও নিয়োগপ্রার্থী স্বপন।