কলেজছাত্রকে হত্যার পর বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
খুলনার পাইকগাছায় আমিনুল ইসলাম (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার করার পর অপহরণকারী নিহত কলেজ ছাত্রের পিতার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
লোমহর্ষকর এ ঘটনার ১৭ ঘন্টার মধ্যে সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ আসামি ফয়সাল সরদারকে (২২) গ্রেফতার করেছে। তবে রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আসামি গ্রেফতার এবং মরদেহ উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান।
নিহত আমিনুর উপজেলার কপিলমুনির শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আটককৃত ফয়সাল সরকার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত ৯টার দিকে আড়ংঘাটা বাজার থেকে ৪/৫ জনের একটি চক্র আমিনুর রহমানকে অপহরণ করে। রাত ১০টার দিকে তাকে হত্যা করে কপোতাক্ষ নদে ভাসিয়ে দেয় বলে আটক ফয়সাল পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ রক্তের আলামত শনাক্ত করেছে। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আমিনুরের ব্যবহৃত ফোন দিয়ে রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার পিতা ছুরমান গাজীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফয়সাল। যা পাইকগাছা ব্রীজের নীচে রাখতে বলে। কিছু টাকাও সেখানে রাখা হয়। ওই স্থান থেকে সোমবার বিকেলে টাকা নিয়ে চলে আসার সময় চারপাশে মোতায়ন করা লোক অপহরণকারী ফয়সাল সরদারকে আটক করে পুলিশে দেয়। সে নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দেয়।
ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, গ্রেফতার করার পর ফয়সাল হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে হত্যার বর্ণনা দেয়। তার বর্ণনা অনুযায়ী কপোতাক্ষের পাড়ে গিয়ে জমাট বাঁধা রক্ত পাওয়া যায়। রাত ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।