রাজধানীতে পলিটেকনিকের এক ছাত্রীর আত্মহত্যা

রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর এলাকার একটি বাসা থেকে এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম অর্পা হাসান (২০)। অর্পা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। অর্পা তেজগাঁও ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্সে ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিল। তার মা রূপা আহমেদ সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত তবে বাবা মাদকাসক্ত হওয়ায় বর্তমানে একটি রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি আছেন।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় অর্পাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মৃত অর্পা নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার হাসান ইমামের মেয়ে। গত দু’বছর আগে বাবা-মায়ের মধ্যে তালাক হয়ে গেলে ঢাকায় মা রূপা আহমেদের সঙ্গে থাকতেন তিনি।

হাসপাতালে মা রূপা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, অর্পা তেজগাঁও ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সায়েন্সে ২য় বর্ষের ছাত্রী ছিল। তার বাবা মাদকাসক্ত। গত দুই বছর আগে তাদের মধ্যে তালাক হয়ে যায়। অর্পার বাবা বর্তমানে একটি রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি আছে। এরপর থেকে অর্পা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

তিনি আরও জানান, আজ (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অর্পাকে বাসায় রেখে বাজারে যান। কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে অর্পার রুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। পরে রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া দেখতে পান। তখন অর্পাকে নামিয়ে স্থানীয় আল বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢামেক এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রুপা আহমেদ আরও জানান, গত তিনমাস আগেও সে ২০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছিল। তখন আইসিইউতে ভর্তি ছিল। সবশেষ গত পরশু দিনও সে আবার ঘুমের ওষুধ খায়। তখন তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সে খুব রাগী ও জেদি প্রকৃতির ছিল। তবে কী কারণে অর্পা এমন ঘটনা ঘটাতো সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি তিনি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) আব্দুল খান জানান, শাহজাহানপুর থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। তার মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।