০৮ অক্টোবর ২০২১, ০০:২৪

টাকার বিনিময়ে কলেজ শিক্ষকের জাল সনদ বিক্রি, কারণ দর্শানোর নোটিশ

টাকার বিনিময়ে কলেজ শিক্ষকের জাল সনদ বিক্রি  © প্রতীকী ফটো

নগদ অর্থের বিনিময়ে বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের এক শিক্ষকের জাল সার্টিফিকেট বিক্রির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পরেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম এইচ এম শামীম আহম্মেদ। তিনি উক্ত কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

ইতোমধ্যে এই ঘটনায় তাকে বরিশালের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে জাল সনদ বিক্রির বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক।

জানা যায়, জাল সার্টিফিকেট বিক্রিকারী ওই শিক্ষক বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডের ফরাজী ওয়ার্কশপ সংলগ্ন ফজলুল হক রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মালিক। ঐ স্কুল থেকে শিক্ষক শামীম নিজেই সুমন নামে এক ব্যক্তিকে ২০০৯ সালে ৮ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এই মর্মে সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়নপত্র দেন। ঐ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইলিয়াস খন্দকারের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেই স্বাক্ষর দিয়ে ২০১০ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরের ঐ পত্র দুইটি প্রদান করা হয়। সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়ন পত্র প্রদানে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হলেও শেষে সুমনকে ৩ হাজার টাকায় তা দিতে রাজি হয় শিক্ষক শামীম। সার্টিফিকেটের পরিবর্তে নগদ অর্থ বিনিময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার সৃষ্টি হয় বরিশালজুড়ে।

সার্টিফিকেট ক্রয়কারী সুমন বলেন, আমি অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট ক্রয় করতে যাই শিক্ষক শামীম আহম্মেদের কাছে। তিনি ১০ হাজার টাকা দাবী করলে আমি ৩ হাজার টাকা দেই। তিনি ঐ কলেজের অধ্যক্ষর পরিবর্তে নিজেই স্বাক্ষর প্রদান করে সার্টিফিকেট ও প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন।

এ বিষয়ে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মু. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজ খবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশালের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শামীম নামে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।