করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ১৩ জনই ঢাবির

আত্মহত্যার মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী
আত্মহত্যার মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে উপাচার্যদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গত ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার অন্তত এক ডোজ দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে যেকোন দিন ক্যাম্পাস খুলে দিতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল খুলে দিলেও এখনও পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস শুরু হয়নি কোথাও।

এই মহামারিতে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মানসিক সমস্যা। এতে আত্মহননের পথ বেঁচে নিয়েছেন উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ৫৭ জন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী। চলতি মাসেই আত্মহত্যার মিছিলে যোগ দিয়েছেন ৪ জন।

এর মধ্যে ১৩ জনই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সর্বশেষ গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর চানখারপুলের এক বাসায় ফ্যানের সাথে ফাঁস দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্র মাসুদ আল মাহাদি অপু। 

অপু ছাড়াও চলতি মাসে আত্মহননের পথ বেঁচে নিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চন্দন পার্সি। তিনি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে জবি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরুল কায়েস।

আত্মহত্যার কারণ হিসেবে পড়াশোনার চাপ, ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, প্রেমে ব্যর্থ, পারিবারিক সমস্যা, সেশনজট, অনশ্চিত ভবিষ্যত, মোবাইলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, অবসাদ ও বিষন্নতাকেই প্রধানত চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে।

তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘করোনাকালে তরুণদের আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক জরিপ বলছে,  করোনাকালে তরুণদের মধ্যে অধিকাংশই মানসিক বিষণ্ণতায় ভোগেন। যেমন, অধিকাংশ সময় মন খারাপ থাকা, পছন্দের কাজ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। অস্বাভাবিক কম বা বেশি ঘুম হওয়া, কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলা, নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা, সবকিছুতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা। এ সমস্যাগুলো তীব্র আকার ধারণ করলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা।

এ প্রসঙ্গে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনাকালে যে হারে মানসিক সমস্যা বাড়ছে সে হারে সচেতনতা বাড়ছে না। যে কারো আত্মহত্যা করার পেছনে আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশেরও দায় রয়েছে। যারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত শুধুমাত্র তাদেরকে কউন্সেলিং দেয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হবে না। বরং একজন তরুণ বা তরুণী কেনো আত্মহত্যাপ্রবণ বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে তার কারণ বের করে সমাধান করে সমস্যার মূলোৎপাটন করতে হবে।

আগস্ট পর্যন্ত আত্মঘাতী হয়েছেন ৫৩ শিক্ষার্থী

২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত দেশের মেডিকেল-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সবশেষ গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার ৬নং সেক্টরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মেসবাহের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। নিহত মেসবাহ জগন্নাথ বিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। মেসবাহের সহপাঠীরা জানান, বেশকিছুদিন ধরেই সে বিষন্নতায় ভুগছিলো।

চলতি মাসেই আত্মহত্যার মিছিলে ৪ শিক্ষার্থী

১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বাড্ডায় ছাদ থেকে লাফিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চন্দন পার্সি নামে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম চন্দন পার্সি। তিনি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে জবি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

সুইসাইড নোটে ‘বাবা-মা ক্ষমা করো, গুড বাই’ লিখে ২৩ সেপ্টেম্বর গলায় ফাঁস দিয়ে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার এক ছাত্রাবাস থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদুর রহমান জামিল (২২)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলার রহমানের ছেলে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন জামিল।

ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনে না দেওয়ায় অভিমানে ২৪ সেপ্টেম্বর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমরুল কায়েস নামের এক শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন ভোররাত ৩টার দিকে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামে।

সর্বশেষ গত গত সোমবার দুপুরে রাজধানীর চানখাঁরপুলের নাজিম উদ্দীন রোডের স্বপ্ন বিল্ডিংয়ের আট তলার একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় অপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্র মাসুদ আল মাহাদি অপুকে। পরে মঙ্গলবার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে জানা যায় যে অপু আত্মহত্যা করেছেন।

১৩ জনই ঢাবির বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী

২০২০ সালের ৮ এপ্রিল তরুণ সেন নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গ্র্যাজুয়েট আত্মহত্যা করেন। তিনি দর্শন বিভাগে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। সরকারি চাকরি না পাওয়ায় এবং চাকরির বয়স শেষ হওয়ায় আত্মহত্যা করেন তরুণ সেন।

২২ জুন শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমাইয়া নাটোর সদরের হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকার মোস্তাক হোসাইনের স্ত্রী। মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে ফলাফলের অপেক্ষমান ছিলেন তিনি। এসময়ের মধ্যে তিনি বিসিএস ও সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

ওই বছরের ১৭ আগস্ট নিজ বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইমাম হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি ‘আল-বিদা’ লিখে স্ট্যাটাস দেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন কবি জসীম উদদীন হলে।

২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাঁঠালবাগানের একটি বাসার ৯ তলার বারান্দা থেকে পড়ে আসিফ ইমতিয়াজ খান জিসাদ নামে ঢাবির সাবেক এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঢাবির ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এবং বন্ধুদের দাবি, তাকে বারান্দা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আসিফ ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৫-২০০৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।

কামরুল বাহার ঢাবির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি অমর একুশে হলের আবাসিক ছাত্র। তার বাড়ি ফেনীতে। কামরুল জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফার্মগেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। সেখানে বড় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

পারিবারিক কলহের জেরে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক ছাত্র জাকারিয়া বিন হক শুভ আত্মহত্যা করেছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

তীব্র বিষন্নতা ও মানসিক চাপ থেকেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শুভজ্যোতি মন্ডল (২২)। ১৪ অক্টোবর বিকেলে সংবাদ পেয়ে আদাবর মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৪ নম্বর রোডের ১৪১ নম্বর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শুভজ্যোতি ঢাবির চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।

পছন্দের ছেলেকে বাদ দিয়ে অন্যের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়ায় ২৬ অক্টোবর আত্মহত্যা করেন ঢাবির ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী ফারিহা তাবাসসুম রুম্পা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে পড়ুয়া রুম্পার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন দীঘায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী তিনি। ১২ নভেম্বর আত্মহত্যা করেছেন অনিন্দ ইশরাক নামে ঢাবির এক শিক্ষার্থী। তিনি আইবিএ ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টারের নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন রুমানা ইয়াসমিন। তিনি পুষ্টিবিজ্ঞানের সাবেক ছাত্রী ছিলেন। এছাড়া ৩৭তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে আনসার বাহিনীর সহকারী পরিচালক হিসেবে ট্রেনিংরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।

২০২০ সালের আত্মহত্যার  মিছিলে সর্বশেষ যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম সিয়াম। ২৭ ডিসেম্বর সকালে ওই ছাত্রের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

গত ২৩ মে নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হাফিজুর রহমানে লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে শনাক্ত হয়েছে। পরে পুলিশ বলছে, দায়ের কোপে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন এই হাফিজুর। এ ঘটনার পর একটি ভিডিও ভাইরাল হলে সেখানে তার সতত্য মিলে। তদন্তে বেরিয়ে আসে তিনি এলএসডি নামক এক ধরনের মাদক সেবনের পর অপ্রকৃতিস্থ হয়ে নিজের গলায় দা দিয়ে কোপ দেন। সর্বশেষ গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আত্মহত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক ছাত্র মাসুদ আল মাহাদি অপু। 


সর্বশেষ সংবাদ