ফেল করার পরও টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ, প্রমাণিত হওয়ায় কাগজ পুড়িয়ে ফেলেন অধ্যক্ষ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৭:১৯ PM , আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৮:২৬ PM
টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করেও অর্থের বিনিময়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, অনৈতিক সুবিধাসহ ভর্তি বাণিজ্য, ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত অভিযোগের নথিপত্রগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরাম যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি করেছে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, শিক্ষার্থী ভর্তি ও আয়-ব্যয়ের নথি চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের কাছে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চিঠি পাঠায়। প্রাথমিক তদন্তে অধ্যক্ষ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্য, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ, টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা ছাত্রদের প্রতি বিষয়ের জন্য ৪০ হাজার টাকা নিয়ে এস.এস.সি ২০১৯ ফরম পূরণের সুযোগে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ছাত্র ও অভিভাবকদের থেকে অঙ্গীকারনামা আদায়ের কপিসহ প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির নির্দেশে অধ্যক্ষ প্রয়োজনীয় নথি, পরীক্ষার খাতা, ছাত্র ও অভিভাবকদের স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্পগুলো সম্প্রতি আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলানোর ঘটনা ঘটে। অভিভাবক ফোরাম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাহিম উদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রোস্তম আলী এক যুক্ত বিবৃতিতে আগুনে দুর্নীতির প্রমানাদিসহ নথি পুড়ে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি করেছেন। তারা বিবৃতিতে বলেন, দুর্নীতিবাজ ড. শাহান আরা বেগমকে অধ্যক্ষ পদে বহাল রেখে সুষ্ঠুভাবে কোন তদন্ত করাই সম্ভব হবে না। তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে তদন্ত প্রভাবিত হবে। তাই অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ শাহান আরা বেগমকে অপসারণ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর নিদের্শনাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানানো হয়।
তারা আরো বলেন, ২০০৪ সাল থেকে অধ্যক্ষ পদে বহাল থেকে শাহান আরা দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। অভিযোগ উঠেছে তিনি দেশ-বিদেশে টাকা পাচার করেছেন ও বিদেশে একাধিক বাড়ি করেছেন।
তারা ২০০৯ সাল থেকে এই স্কুলের গভর্নিং বডির সকল সভাপতিসহ সকল সদস্যদের সম্পদের হিসাব চাওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।