‘ইভ্যালি গোপনে কিছু করেনি, এতদিন কেন ধরা হলো না?’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নিয়ে এখন সরব চারপাশ। ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) গ্রেফতার করেছে। সকলের প্রশ্ন প্রশাসনের চোখের সামনে কীভাবে এতোদিন ধরে প্রতারণা করল প্রতিষ্ঠানটি। এবার সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। বৃহস্পতিবার মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের গ্রফতারের পর তার নিজ ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো,
'হুট করে কোনো কিছু বন্ধ করে দেয়া, অনিয়ম কিংবা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউকে গ্রেফতার করা খুব কঠিন কাজ না। এই কাজ করার জন্য কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণ বা দক্ষতার প্রয়োজন নেই। হলমার্ক কিংবা ডেসটিনি, ইভ্যালি যাই বলিনা কেন তারা কিন্তু একদিনে তৈরী হয়নি।
দীর্ঘদিন কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে সবার চোখের সামনে তৈরী হয়েছে। বেড়ে উঠার পথে কোনো বাধা বিপত্তি না পাওয়ায় এদের সাথে আরো অনেকে সম্পৃক্ত হয়েছেন। হলমার্কের কাছে রাষ্ট্রের টাকা, ডেসটিনি ও ইভ্যালির কাছে গ্রাহক ও উদ্যোক্তাদের টাকা। সব টাকার মালিকই জনগণ।
হলমার্ক রাষ্ট্রের টাকা নিয়ে শিল্পকারখানা করেছে, হয়তো বিদেশেও পাচার করেছে। ওই সব কারখানায় অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে এটাও সত্য। টাকা যা নেয়ার তা নিয়ে নিয়েছে। নিয়ে যাবার পর কেন ঘুম ভাঙলো? গ্রেফতার কিংবা বন্ধ করে দিলেতো রাষ্ট্র এবং জনগণ দুইই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখানে তাই হয়েছে …
ডেসটিনি এবং ইভ্যালির বিজ্ঞাপন এবং স্পনসর অনেক রাষ্ট্রীয় বড় বড় প্রতিষ্ঠানও নিয়েছে। টিভি পত্রিকাতে সবখানে ছিল বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। গোপনে কিছু করেনি। তাহলে এতদিন কেন ধরা হলো না ? জনগণের হাজার কোটি টাকা তাদের জিম্মায় যাবার পর গ্রেফতার ও বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া বুদ্ধিদীপ্ত এ যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না।
“জালিয়াতি আর আইনের ফাঁকফোকর” কাজে লাগানো এক নয়। আমার যেটা মনে হয়েছে হলমার্ক, এহসান গ্রুপ পুরোপুরি জালিয়াতি করেছে আর ইভ্যালিসহ ই-কমার্সগুলো আইনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়েছে। এখানে রাষ্ট্রের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থাও আগে ছিল না।
রাষ্ট্র অভিভাবক। রাষ্ট্রের হাত অনেক লম্বা। অনেক বিজ্ঞ লোকজন রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেন। সবার উচিত বিকল্প কোনো পথ খুঁজে বের করে সমাধান করা। যাতে রাষ্ট্র এবং জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এবং দেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির পথ বন্ধ না হয়।'