মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় বসার আগেই ভারতে আত্মহত্যা ছাত্রের
এর আগে দুবার ডাক্তার হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেছিলেন। দুবারই পাশ করতে পারেননি। আর আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বা সংক্ষেপে, নিট পরীক্ষার আগেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই ছাত্রের মৃতদেহ।
ভারতের তামিলনাড়ুর সালেমের ঘটনা। মৃতের নাম এস ধনুষ। অনুমান করা হচ্ছে ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় এবারও ফেল করার আশঙ্কায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে কোনও সুইসাইড নোট অবশ্য পাওয়া যায়নি।
ডাক্তার হতে গেলে ভারতজুড়ে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। একে বলে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট। সংক্ষেপে, নিট।
সালেমের এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, মনে করা হচ্ছে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। নিট পরীক্ষা পাশ করার জন্য তার বাড়ির লোকজনও চাপ দিতেন। অন্য কোনও কোর্সে ভর্তি না হওয়ার ব্যাপারেও বলা হত। সম্ভবত সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেননি ওই ছাত্র এদিন সকালে তার বাড়ি থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই ছাত্রের দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট। তার বাবা কারখানায় কাজ করেন।
এদিকে ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এদাপ্পাড়ি পালানিস্বামী বলেন, নিট পরীক্ষা বাতিল করার যে প্রতিশ্রুতি ডিএমকে দিয়েছিল সেটা কোথায় গেল?
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বলেন, নিট পরীক্ষা পুরোপুরিভাবে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে কালই বিল আনা হবে। এই অবিচার এবার বন্ধ হওয়া দরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে নিট পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে এক ডজনেরও বেশি শিক্ষার্থী ফেল করার আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। এটা আর মানা যায় না। এমনটাই দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা