হোস্টেলে গিয়েই স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

  © সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরা শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের হোস্টেলে আবির হোসেন খান (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) লাল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে আধুনিক হাসপাতাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের ধারণা ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

আবির ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আমতলী এলাকার মো. ফজলুর রহমান খানের ছেলে। তিনি উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

এসআই লাল মিয়া বলেন, খবর পেয়ে শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আবিরের মরদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ রয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে তিনি বলেন, আবির মোবাইলে গেমস খেলায় আসক্ত ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে এ কারণে রবিবার দুপুরে তার বাবা আবিরকে ছাত্র হোস্টেলে দিয়ে যান। পরে বিকেলে হোস্টেলের কাজের মেয়ের কাছে মোবাইলফোন চায় সে। তবে তিনি মোবাইলফোন না দিলে সে বুয়াকে বলে, ফোন যেহেতু দিবেন না তাহলে আমার বাড়িতে কল দিয়ে বলেন-আমার লাশ নিয়ে যেতে।

পরে ওই কাজের মেয়ে শিক্ষকদের বিষয়টি জানালে তারা ওই হোস্টেলের সপ্তম তলার আবিরের রুমে যান। সেখানেই জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খাটের উপর অচেতন অবস্থায় কাত হয়ে বসে থাকতে দেখেন শিক্ষকরা।

পরে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অবস্থায় দেখতে পায় বলে দাবি করেছে। তখন তারা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

আবিরের বাবা মো. ফজলুর রহমান খান জানান, বাড়ি থেকে হোস্টেলে আসার সময় আবির তার মোবাইলফোন বাড়িতে রেখে আসে। এরপর আমি তাকে হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে বাসায় চলে যাই। বাসায় পৌঁছানোর কিছু আগেই আবার হোস্টেল থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আবির সেন্সলেস হয়ে গেছে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে রাতেই উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে গিয়ে ছেলের মরদেহ দেখতে পাই।

তবে ঠিক কি কারনে ছেলের মৃত্যু হতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাতে না পারলেও ছেলের মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের শাখা পরিচালক মো. বকুল মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে সে বাবার সাথে হোস্টেলে আসে। এরপর তার বাবা চলে যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে হোস্টেল থেকে তাকে খবর দেয়া হয় সপ্তম তলায় ৭০১ নম্বর রুমে গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় জানালার গ্রিলের সাথে কাত হয়ে অচেতন অবস্থায় বসে আছে আবির। পরে কাজের বুয়া তাকে দেখতে পেয়ে সবাইকে খবর দিলে আবিরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ