করোনা ও ক্যান্সারের দেশী-বিদেশী ব্রান্ডের নকল ওষুধসহ ৭ জন আটক
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্যান্সার ও করোনা মহামারীতে ব্যবহৃত দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ এবং ওষুধ তৈরির সরঞ্জামসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাজলা, আরামবাগ ও মিটফোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- তরিকুল ইসলাম, সৈয়দ আল মামুন, সাইদুল ইসলাম, মনোয়ার, আবদুল লতিফ, নাজমুল ঢালী ও সাগর আহমেদ মিলন।
গ্রেপ্তারের সময় একমি কোম্পানির ৭০০ বাক্স মোনাস, স্কয়ার কোম্পানির ৫০ বাক্স সেকলো, জেনিথ কোম্পানির ৭৪৮ বাক্স ন্যাপ্রোক্সেন প্লাসসহ অন্যান্য কোম্পানির বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরির মেশিন, ডায়াস ও ওষুধের খালি বাক্স উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বংশাল থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে প্রেরণ করার পর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় তিনি বলেন, এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। গত ১ সেপ্টেম্বর বুধবার ধারাবাহিক অভিযানে চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তরিকুল ইসলাম ও সৈয়দ আল মামুন কারখানা স্থাপন করে জীবন রক্ষাকারী এ সকল নকল ওষুধ তৈরি করে। সাইদুল ইসলাম এ নকল ওষুধ তৈরির প্রধান কারিগর, মনোয়ার এ্যালো এ্যালো ফয়েল ও আবদুল লতিফ ওষুধের পাতায় ছাপ দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসহ সিলিন্ডার সরবরাহ করতো। গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল ঢালী ওষুধের বক্সে ছাপ দেওয়ার পর তৈরিকৃত এ সকল নকল ওষুধ গ্রেপ্তারকৃত সাগর আহমেদ মিলনের নেতৃত্বে মিটফোর্ডের কয়েকটি গ্রুপের মাধ্যমে বাজারজাত করতো।
তিনি আরও বলেন, এই নকল ওষুধের উপাদানে মূলত প্রয়োজনীয় কোনো সক্রিয় উপাদান থাকে না। এছাড়া মেইন স্টার্চ নিম্ন গ্রেডের ব্যবহৃত হয়। এমনকি স্টেরয়েড ও ডাই ব্যবহৃত হতে পারে। নন ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রেডের এসব কেমিক্যাল সেবনের ফলে মানুষের কিডনি, লিভার ও হৃদ্যন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এ সকল নকল ওষুধ সাধারণ মানুষের জন্য মরণ ফাঁদ।