৩০ আগস্ট ২০২১, ১১:০৯

১৪ বছরে গুম হয়েছেন ৬১৪ জন, ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার

ঢাকায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সমাবেশ  © ফাইল ছবি

গুমের শিকার লোকজনকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়াসহ এ সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। ৩০ অগাস্ট গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

গুমের বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী গণমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা তথ্য উল্লেখ করে ২০০৭ থেকে ২০২১ সালের ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত দেশে ৬১৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আসক।

এদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে, ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন ফেরত এসেছে। অন্যদের বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট তথ্য গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটির ৬৭তম অধিবেশনে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তি বিরোধী সনদের আওতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি পর্যালোচনা হয়।

আসকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যালোচনায় অঘোষিত আটক, যাকে কমিটি অন্তর্ধান বা গুম হিসেবে বর্ণনা করেছে, সেই বিষয়টিতে কমিটি বলেছে, এভাবে আটককৃত ব্যক্তিকে যদি হত্যা করা হয় অথবা তিনি ফিরে আসেন- যাই ঘটুক না কেন, তাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে গুম হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

এতে বলা আরও বলা হয়, কমিটি তাদের চুড়ান্ত পর্যবেক্ষণে, সকল আটক ও আটকাবস্থায় মৃত্যুর ঘটনার সাথে অভিযুক্ত বাহিনীর বাইরে একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থা দ্বারা দ্রুততার সাথে পরিপূর্ণ তদন্ত করা ও গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আইনের মাধ্যমে ‘গুম’কে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদটি স্বাক্ষর করার সুপারিশ করে।

সারা পৃথিবীতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে ‘গুম প্রতিরোধ দিবস’। ২০০২ থেকে কাজ শুরু করে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে জাতিসংঘ। ইংরেজিতে নাম দেওয়া হয় ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়। তাতে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম-প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।